টিয়েন্স বাংলাদেশ ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং কার্নিভাল ২০২৩
৯ই অক্টোবর ২০২৩ তারিখ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় টিয়েন্স বাংলাদেশের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং কার্নিভাল ২০২৩ -এর জাঁকজমক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল 'ট্রান্সফরম'। অনুষ্ঠানে ৪ হাজারের বেশি ডিস্ট্রিবিউটর উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করা হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৩ হাজার হাজার অংশগ্রহণকারী সরাসরি যুক্ত হোন৷ অনুষ্ঠানে সারাদেশের কয়েকশ ডিস্ট্রিবিউটরকে তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য স্বীকৃত এবং পুরস্কৃত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে টিয়েন্স গ্রুপের ক্যারিশম্যাটিক প্রেসিডেন্ট (এশিয়া-আফ্রিকা রিজিওন) জনাব জা ইয়ং কিং উপস্থিত থেকে উক্ত অনুষ্ঠানে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বক্তৃতা প্রদান করেন। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সফলতার জন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজ নিজ আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারবে। পরিশেষে উপস্থিত সকলকে টিয়েন্স বাংলাদেশের ১৮তম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা পোষণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জমাব অ্যান্ডি ওয়াং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ২০২৩ সালের নানামুখী ব্যবসায়িক দিক-নির্দেশনা দেন, পাশাপাশি পরিবেশকগণদের ২০২৩ সালের কৃতিত্বের জন্য সম্মাননাপূর্বক ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। জনাব অ্যান্ডি ওয়াং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিয়েন্স গ্রুপের ক্যারিশম্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট (এশিয়া-আফ্রিকা রিজিওন) উইনজিন গাও, টিয়েন্স গ্রুপের এশিয়া-আফ্রিকা বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ট্যান সুই ইং, টিয়েন্স গ্রুপের এশিয়া-আফ্রিকা এডুকেশন ম্যানেজার জনাব ট্যান ইউয়েন ট্যাট, টিয়েন্স ইন্ডিয়ার ম্যানেজার কেলভিন ও টিয়েন্স ইন্ডিয়ার ভাইস জেনারেল ম্যানেজার জনাব ভিকাস ভার্মা। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে টিয়েন্স বাংলাদেশের সম্মানিত ডিরেক্টর জনাব কাওসার ভূঁইয়া, ডিরেক্টর জনাব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ডিরেক্টর জনাব মাহবুবুর রহমান, ডিরেক্টর জনাব ফখরুল হাসান সরকার, ডিরেক্টর জনাব পেয়ার আহমেদ চৌধুরী, ডিরেক্টর জনাব শামসুদ্দিন স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতি উক্ত অনুষ্ঠানের সকলকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে শ্বাসরুদ্ধকর বেশ কয়েকটি পারফরম্যান্স প্রদর্শন করা হয়, যার মধ্যে টিয়েন্স হেলথ নাচ ও সাংস্কৃতিক নাচের পারফরম্যান্স দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। উপরন্তু, ঢাকাস্থ একটি এতিমখানায় টিয়েন্স বাংলাদেশের এক লক্ষ টাকা অনুদান ও ১০ জন এতিম শিশুদের মাঝে টিয়েন্স চিলড্রেন ক্যালসিয়াম বিতরণ উপস্থিত সকলের হৃদয়ে টনক নাড়িয়ে দেয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব ছিল স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠান, যেমন:
> বিলাসবহুল গাড়ি ফান্ড পুরস্কার
> নতুন র্যাংক পুরস্কার
> লয়ালিটি পুরস্কার
> টিয়েন্স গ্রুপের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক লেকচারার সংবর্ধনা।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টিয়েন্স বাংলাদেশ নতুন উদ্যোম, নতুন শক্তি ও নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে এসেছে। টিয়েন্স একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের মাধ্যমে নতুন বিশ্ব তৈরি করতে অংশীদারিত্ব করবে, পাশাপাশি নতুনত্বকে মিশ্রিত করে সাধারণ উন্নয়নে অংশ নিয়ে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে।